নিম পাতা খেলে কি কি উপকার হয় এবং এর ব্যাবহার গুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

১. ত্বক ও চুলের জন্য নিমপাতা দারুণ উপকারী। নিমপাতা ব্যবহারে ব্রণের সমস্যা দূর হয়। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতেও দারুণ কার্যকরী। এছাড়া ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন- ব্ল্যাকহেডস, বড় ছিদ্র , দাগ দূর করতেও নিম পাতা ব্যবহার করা যায়। নিমপাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফ্যাংগাল উপাদান চুলের খুশকি সমস্যার সমাধান দেয়। এটি চুল পড়া রোধেও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

২. নিমপাতায় থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রক্ত পরিশুদ্ধ করে। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ২ টা করে নিমের তৈরি ক্যাপসুল খেলে বিভিন্ন ধরনের টক্সিন থেকে রক্ত পরিশুদ্ধ থাকবে।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিমপাতা দারুণ কার্যকরী।এ কারণে যেকোন ধরণের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে এটি ভূমিকা রাখে।নিমপাতা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। নিয়মিত নিমের তৈরির ক্যাপসুল খেলে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুসহ অন্যান্য সংক্রমণ রোগ প্রতিরোধ করা যায়।

৪. নিমে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা কমায়। এটি দাঁতের প্রদাহ সারাতেও কার্যকরী।

৫. নিম হজমের জন্য দারুণ উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরী উপাদান পাকস্থলীর নানা সংক্রমণ সারাতে ভূমিকা রাখে।

৬. মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করতে নিম পাতার রস ব্যাবহার করুন ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া এটি চুল শক্ত করতে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

৭. ত্বকের বা দেহের যে কোনো চামড়ায় চুলকানি হলে নিমপাতা বাটা লাগলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।

৮. পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।

৯. অ্যালার্জির সমস্যায় নিম পাতা জলের সঙ্গে ফুটিয়ে নিন এবং ওই জলে স্নান করুন। এতে অ্যালার্জি রোগ ঠিক হয়ে যাবে। তাছাড়া কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা একসাথে বেঁটে শরীরে লাগান।

১০. নিমপাতার ফেসপ্যাক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণ দূর হবে এবং ব্রণ থেকে তৈরি জ্বালাপোড়া ভাবও দূর হবে। এটা ব্রণ দূর করার একটি কার্যকর পদ্ধতি।

অপকারিতা

১. খালি পেটে নিম পাতা বেশিদিন খাওয়া উচিত নয়। এতে অনেক সমস্যায় পড়তে পারেন।

২. নিম পাতা রস খাওয়ার সময় বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে যায় অনেকের। এই সমস্যা যদি প্রত্যেক বার হয় তাহলে এটি খাওয়া বন্ধ করা উচিত।

৩. গর্ভবতী মহিলাদের নিম পাতা এড়িয়ে যাওয়া দরকার। কারণ এটি গার্ভাপাতের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

This post was last modified on Tháng mười một 18, 2024 4:32 chiều